
প্রকাশিত: Sun, Jan 15, 2023 2:34 PM আপডেট: Mon, May 12, 2025 8:41 AM
উৎপাদনশীল শিল্প ও কৃষিসহ প্রকৃত অর্থনীতিকে বরাবরের মতো যেকোনো মূল্যে প্রণোদনা দিয়ে যেতে হবে
ড. আতিউর রহমান
বিশ^ব্যাংক তার সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ প্রকাশ করেছে। এই প্রকাশনায় আশঙ্কা করা হয়েছে যে ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.৭ শতাংশে নেমে যাবে। অথচ ছয় মাস আগেই আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠানটি আশা করেছিল যে এ বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৩ শতাংশের কাছাকাছি। সংস্থাটির মতে হতাশাজনক প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণের পেছনে কাজ করছে উঁচু হারের মূল্যস্ফীতি, বাড়তি সুদের হার, পড়ন্ত বিনিয়োগের হার এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সরবরাহ চেইনের ভঙ্গুরতা। ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫.৫ শতাংশ। ২০২৪ সালে তা সামান্য বেড়ে হবে ৫.৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। ছয় মাস আগেও বিশ্বব্যাংক বলেছিল, বাংলাদেশের অর্থনীতি বাড়বে ৬ শতাংশের বেশি হারে। এখন বলছে, এই হার হবে ৫.২ শতাংশ। ২০২৪ সালে তা হবে ৬.২ শতাংশ। তবে বাংলাদেশ সরকার মনে করে প্রবৃদ্ধির এই হার ৬.৫ শতাংশের বেশিই হবে। আইএমএফও তার আগের প্রক্ষেপণ থেকে এখনও পর্যন্ত সরে আসে নি। তবে এ কথা অস্বীকার করা যাবে না যে ধাবমান এই বিশ্বমন্দার ঢেউ নিশ্চয় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধাক্কা মারবে। মনে রাখা চাই আমাদের অর্থনীতি এখন অনেকটাই ‘গ্লোবালাইজড’। তাই সারা বিশ্বে মন্দার লু হাওয়া বইলে বাংলাদেশ তার বাইরে থাকতে পারবে না।
বিশ্বমন্দার যে চোখ রাঙানি দেখা যাচ্ছে তা মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশকে সমস্যাগুলোর ধরন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিরূপণ করে খুবই মুনশিয়ানার সঙ্গে মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির সমন্বয় করতে হবে। বিশ্বজুড়েই মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবন চলাকে খুবই কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আসন্ন বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাকে সঠিকভাবে মোকাবেলার জন্য তাই আমাদের স্বল্প মেয়াদের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করার কোনো বিকল্প নেই। একইসঙ্গে উৎপাদনশীল শিল্প ও কৃষিসহ প্রকৃত অর্থনীতিকে বরাবরের মতো যে কোনো মূল্যে প্রণোদনা দিয়ে যেতে হবে। লেখক: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
